প্রেমিকার সঙ্গে রাত কাটালেও তার শরীর স্পর্শ করেনি প্রেমিক রুবেল

প্রেম মানে না কোন বাধা এমন দুজন প্রেমিক প্রেমিকা গতকাল রাত থেকে ভৈরব থানায় আটক রয়েছে। প্রেমিকা বলছে আমি আমার প্রেমিক ছাড়া কাউকে বিয়ে করব না। অপরদিকে প্রেমিক বলছে তার সাথে প্রেম করেছি কিন্ত তাকে বিয়ে করব না। প্রেমিকার পরিবারের অভিভাবকরা প্রেমিকের কাছে বিয়ে দিতে রাজী থাকলেও তার পরিবার রাজী নয়।

প্রেমিকা বলছে সে আমার সাথে একাধিক দিন রাত কাটিয়েছে, তাই বিয়ে করতেই হবে তাকে। প্রেমিক বলছে তার সাথে রাত কাটালেও তার শরীর স্পর্শ করেনি। গতকাল রাত ৮টা থেকে তাদের দুই পরিবারের সদস্যরা মিলিত হয়েও ঘটনার সমাধান করতে না পেরে শুক্রবার বিকেলে প্রেমিকার বাবা (সাহিদা বেগমের বাবা) তার প্রেমিকের( রুবেল) বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় একটি ধর্ষণের অভিযোগ করে। প্রেমিকা ভৈরবের সরকারি জিল্লুর রহমান কলেজের অনার্স পরীক্ষার্থী এবং প্রেমিক ভৈরব হাজী আসমত কলেজের অনার্সের পড়ুয়া ছাত্র। দুজনের বাড়ি ভৈরব উপজেলার চাঁনপুর গ্রামে।

জানা গেছে, এই যুগল প্রেমিক প্রেমিকা দীর্ঘ ৭ বছর যাবত প্রেম করছে। দুজনে মিলে একাধিক দিন একসাথে রাত কাটিয়েছে । প্রেমিক দুই বছর যাবত তাকে বিয়ে করবে বলেও বিয়ে করছেনা। এই রাগে গত ৪ মাস আগে প্রেমিকা বিষপান করেও বেঁচে যায়। তারপর প্রেমিক তাকে বিয়ের আশা দিয়ে বিয়ে করছেনা প্রেমিকার অভিযোগ। একারণে বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রেমিক রুবেলকে ভৈরব বাজারে পেয়ে আটক করে। দুজনের তর্ক বিতর্কে আশেপাশের লোকজন জড়ো হলে ভৈরব পৌরসভার প্যানেল চেয়ারম্যান মোঃ আল আমিন ঘটনা দেখে তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করে।

প্রেমিকার অভিভাবক বাবা-মা, বোনসহ এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বারগণ তাকে বলছে প্রেমিকের চিন্তা বাদ দিয়ে নতুন পাত্রের সাথে তাকে বিয়ে দিবে। কিন্ত প্রেমিকার সাফ কথা আমি তাকে বিয়ে করতে না পারলে মরে যাব। অপরদিকে প্রেমিক রুবেলের সাফ কথা প্রেম করেছি বিয়ে করবো না। এনিয়ে পুলিশ পরেছে বিপাকে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত দুজনকে বুঝিয়েও কাউকে মানাতে পারছেনা পুলিশ। অবশেষে ধর্ষণের অভিযোগ দিল প্রেমিকার পিতা।

এবিষয়ে ভৈরব থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বাহালুল খান বাহার ঘটনাটি স্বীকার করে জানান দুই পরিবার মিলেও ঘটনাটি মীমাংসা করতে পারেনি। এই ঘটনায় প্রেমিকের বাবা আবদুল হক বাদী হয়ে থানায় একটি ধর্ষণের মামলা করেছে বলে তিনি জানান।